একটি সুন্দর জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর কৌশল
আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) হচ্ছে একজন সম্ভাব্য চাকুরীদাতার কাছে একজন চাকুরীপ্রার্থী হিসাবে উপস্থাপন করার প্রাথমিক মাধ্যম ৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় চাকুরীপ্রার্থীরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত সুন্দর এবং সঠিকভাবে তৈরী করার ব্যপারে গুরুত্ব প্রদান করে না ৷ ফলশ্রুতিতে অনেক যোগ্য প্রার্থীই Job Interview তে ডাক পায় না এবং যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় ৷
আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর আগে যে সকল বাস্তবতার দিকে নজর রাখবেন---
● একজন চাকুরীদাতা
গড়ে একটি জীবনবৃত্তান্ত
(CV)-এর উপর ৩০
সেকেন্ডের বেশী সময়
দেয় না ৷
সুতরাং এটি হতে
হবে সংক্ষিপ্ত ৷
তথ্যগুলোর উপস্থাপন হতে
হবে সুস্পষ্ট ৷
অপ্রয়োজনীয় বা অপেক্ষাকৃত
কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
পরিহার করতে হবে
৷
● একজন অনভিজ্ঞ/সদ্য পাস
করা চাকুরীপ্রার্থীর জীবনবৃত্তান্ত এক থেকে
দুই পাতার বেশী
হওয়া কোনভাবেই উচিত্
নয় ৷
● আপনার জীবনবৃত্তান্ত
হচ্ছে আপনার নিজেকে
বিপণন করার মাধ্যম
৷ সুতরাং এটি
হতে হবে আকর্ষণীয়
৷ তবে চটকদার
কোন কিছু যেমন
রঙিন কাগজ বা
রঙিন কালি ব্যবহার
করবেন না ৷
কোন কিছু Highlight করতে
হলে সেটিকে Bold, italic বা underline করতে
পারেন ৷
● মনে রাখবেন,
আপনার জীবনবৃত্তান্তের মধ্যে যদি
কোন বানান ভুল
বা ভাষাগত/ Grammatical ভুল থাকে
তবে সম্ভাব্য চাকুরীদাতার
আপনার সম্বন্ধে নেতিবাচক
ধারণা হবে ৷
এটি প্রকাশ পাবে
যে আপনি কোন
কাজই নির্ভুল ভাবে
করতে সক্ষম নন
৷ সুতরাং একটি
CV তৈরীর পর সেটি
নিজে ভাল করে
পড়ুন এবং শুদ্ধ
ইংরেজী জানেন এমন
ব্যক্তিকে দেখিয়ে নিন
৷
● যখন আপনি
কোন নির্দিষ্ট চাকুরী
বিজ্ঞপ্তির (job announcement)-এর বিপরীতে
আবেদন করার জন্য
জীবনবৃত্তান্ত পাঠাবেন, তখন
চেষ্টা করুন আপনার
CV সেই চাকুরীর চাহিদা
অনুযায়ী তৈরী করতে
(Customize your CV) ৷
এর জন্য প্রয়োজন
চাকুরী বিজ্ঞপ্তি ভাল
করে পড়া এবং
প্রতিষ্ঠানটি সম্বন্ধে কিছু
গবেষণা (Research) করা ৷
উদাহরণ স্বরুপ আপনি
যদি জানেন যে
নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের
যে কোন স্থানে
নিয়োগ দিতে পারে,
তাহলে আপনি আপনার
CV-তে উল্লেখ করতে
পারেন আপনি বাংলাদেশের
কোন কোন স্থানে
পূর্বে অবস্থান করেছেন
৷ অথবা কোন
নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এমন
কোন লোক খুঁজছে
যার একজন ‘ সংগঠকের
(organizer’) ভূমিকা
পালন করতে হবে,
সেই ক্ষেত্রে আপনি
যদি আপনার ছাত্রজীবনের
কোন সাংগঠনকারীর ভূমিকা
উল্লেখ করেন তবে
আপনার CV নিয়োগকারীর কাছে
আলাদা মূল্য পাবে
৷
§ এটি খুবই
গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি
আপনার CV তে সঠিক
তথ্য দিবেন ৷
এমন কোন তথ্য
দিবেন না যা
আপনার Job interview-তে ভুল
প্রমানিত হতে পারে
৷
জীবনবৃত্তান্তের (CV) বিভিন্ন অংশ
একটি জীবনবৃত্তান্তে (CV) যে তথ্যগুলো আপনি সুবিন্যস্ত ভাবে উপস্থাপন করবেন সেগুলো হচ্ছে--
* শিরোনাম (Title)
* সার সংক্ষেপ
(Career Summary) --> অভিজ্ঞতা
সম্পন্নদের জন্য বেশী
প্রয়োজন ৷
* ক্যারিয়ার উদ্দেশ্য
(Career objective)-->সদ্য
পাশ করা চাকুরী
প্রার্থীদের জন্য বেশী
প্রয়োজন ৷
* চাকুরির অভিজ্ঞতা
(Experience)
* শিক্ষাগত যোগ্যতা
(Education)
* অতিরিক্ত তথ্য
(Additional Information)
* ব্যক্তিগত তথ্য
(Personal Information)
* রেফারেন্স (Reference)
শিরোনাম: (Title)
জীবনবৃত্তান্তের শুরুতেই থাকবে আপনার পুরো নাম ৷ এটা বোল্ড (bold) হবে এবং একটু বড় ফন্টে লিখতে হবে (ডাক নাম পরিহার করুন) ৷ তার পর থাকবে আপনার ঠিকানা (বর্তমান ঠিকানা যেখানে আপনাকে চিঠি দিলে আপনি পাবেন), ফোন নম্বর ও ই-মেইল এড্রেস ৷ এই অংশটুকু পৃষ্ঠার উপরে মধ্যখানে থাকবে, যাতে তা প্রথমেই চোখে পরে ৷
Career Summary( সার সংক্ষেপ )
যে সকল ব্যক্তিদের ৪-৫ বছরের বেশী চাকরীর অভিজ্ঞতা আছে তাদের জন্য এটি বেশী প্রযোজ্য ৷ এই অংশে আপনি সর্বোচ্চ ৬-৭ লাইনে উল্লেখ করুন আপনার পূর্ব চাকরীর অভিজ্ঞতার কর্মক্ষেত্রগুলো ৷ আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতার সাফল্যগুলো (Achievement) সংক্ষেপে তুলে ধরুন (যদি থাকে) ৷
Career Objective
এটি বেশী প্রযোজ্য সদ্য পাশ করা চাকুরী প্রার্থী বা অল্প অভিজ্ঞ (১ / ২ বছর) চাকুরী প্রার্থীদের জন্য ৷ এই অংশে আপনি আপনার চাকুরীক্ষেত্রে বর্তমান লক্ষ্য (Immediate goal) উল্লেখ করুন এবং আপনার যোগ্যতা কিভাবে বিজ্ঞপ্তির (Advertised) চাকুরী বা যে প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন, তার প্রয়োজন মেটাতে পারে তার প্রেক্ষিতে উপস্থাপন করুন ৷ চাকুরীর জন্য উপযুক্ত ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষিপ্তভাবে উলেখ করুন ৷ চাকুরী বিজ্ঞপ্তি বা কোম্পানির প্রয়োজনের সাথে খাপ খাইয়ে Career Objective লেখা জরুরী ৷ আপনি কোম্পানিকে কি দিতে পারবেন তার ওপর গুরুত্বারোপ করুন, কোম্পানির কাছ থেকে আপনি কি আশা করছেন তার ওপর নয় ৷
Experience: (কর্ম অভিজ্ঞতা)
অভিজ্ঞ পেশাজীবিদের জন্য এই অংশটি শিক্ষাগত যোগ্যতার আগেই আসা উচিত ৷ সদ্য পাশ করা বা অল্প অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা (Education) এবং তার পরে experience আসা উচিত ৷
যে সকল তথ্য আপনার প্রতিটি পূর্ব অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে উল্লেখ করবেন সেগুলো হচ্ছে,
* Organization name (প্রতিষ্ঠানের নাম)
* Designation (পদবী)
* Time period- From & To
(সময়কাল)
* Job responsibility (দায়িত্ব)
* Special achievement (উল্লেখযোগ্য সাফল্য)
আপনি যদি একই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করে থাকেন, তাহলে আলাদা আলাদা ভাবে তা উল্লেখ করুন ৷
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি প্রথমেই উল্লেখ করবেন আপনার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা (most recent experience), তার পরে এক এক করে Resume Chronological Order-এ একটির পর একটি অভিজ্ঞতা উল্লেখ করবেন যা শেষ হবে আপনার সর্বপ্রথম অভিজ্ঞতা দিয়ে ৷
আপনার খুব কম গুরুত্বপূর্ণ বা কম সময়ের অভিজ্ঞতা উল্লেখ না করাই ভাল ৷ তবে লক্ষ্য রাখবেন যে আপনার List of experience এর মধ্যে যাতে খুব বেশী Time gap না থাকে ৷
Education & Training (শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ)
আগেই বলা হয়েছে যে এই অংশটি সদ্য পাশ করা বা অল্প অভিজ্ঞদের জন্য Experience অংশের আগেই আসা উচিত্ ৷ Education অংশে আপনি আপনার ডিগ্রিগুলোর নাম উল্লেখ করবেন এবং নিম্নেবর্ণিত তথ্য প্রদান করবেন ৷
* ডিগ্রির নাম
(যেমন: SSC, HSC, BCom)
* কোর্স সময়কাল
(কবে থেকে কবে)
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডের
নাম ৷ * পরীক্ষার
বছর এবং প্রয়োজনে
ফলাফল প্রকাশের সময়
৷
* ফলাফল/Result এবং
যদি উল্লেখযোগ্য সাফল্য
(যেমন: মেধাতালিকায় স্থান)
থাকে তবে তার
উল্লেখ করতে হবে
৷
Experience-এর
মতো এক্ষেত্রেও আপনি আপনার সবচেয়ে সাম্প্রতিক ডিগ্রির উল্লেখ আগে করবেন এবং তার পর পর্যায়ক্রমিক ভাবে বাকিগুলো উল্লেখ করবেন ৷
লক্ষ্য রাখবেন আপনার কোন ডিগ্রির চূড়ান্ত ফলাফল এখনও প্রকাশ না হয়ে থাকলে সেই ডিগ্রির উল্লেখ করার সময় ব্র্যাকেটে ‘Appeared’ উল্লেখ করবেন ৷ কোন কোর্সে অধ্যায়নরত থাকলে ‘Ongoing’ উল্লেখ করুন ৷ কোন ডিগ্রির ক্ষেত্রে আপনার Result যদি খুব খারাপ হয়ে থাকে তবে কোন Result-ই উল্লেখ করার দরকার নেই ৷ মনে রাখবেন একটি ডিগ্রির ফলাফল উল্লেখ করা ও অন্যটি উল্লেখ না করা দৃষ্টিকটু ৷
আপনি যদি কোন বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং যদি তা আপনার কাজের যোগ্যতার সহায়ক বলে মনে করেন তবে তা উল্লেখ করবেন ৷ সেক্ষেত্রেও প্রশিক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, Topics, প্রতিষ্ঠানের সময় (Duration) তারিখ উল্লেখ করবেন৷
প্রশিক্ষণের তালিকা আপনি Education অংশের নীচে দিতে পারেন ৷
অতিরিক্ত তথ্য / Additional Information
যে সকল তথ্য উপরে উল্লেখিত অংশগুলোর মধ্যে পড়ে না কিন্তু চাকরির সাথে সম্পর্কিত তা এ বিভাগে বর্ণনা করুন ৷
* পেশাগত অর্জন
/ Professional Achievement
* পদক/ সম্মাননা/
Award.
* ভাষাগত দক্ষতা
/ Language Literacy
* কম্পিউটারে দক্ষতা
/ Computer Skills.
* লাইসেন্স,সরকারি
পরিচয়পত্র, প্রকাশিত লেখা
ও সত্বাধিকার
* স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ড
ইত্যাদি
ব্যক্তিগত তথ্য / Personal Information
এই অংশে পিতামাতা, বর্তমান/স্থায়ী ঠিকানা, ধর্ম, যে সকল দেশ আপনি ভ্রমণ করেছেন, শখ ইত্যাদি এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে ৷
রেফারেন্স (Reference)
আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) হচ্ছে একজন সম্ভাব্য চাকুরীদাতার কাছে একজন চাকুরীপ্রার্থী হিসাবে উপস্থাপন করার প্রাথমিক মাধ্যম ৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় চাকুরীপ্রার্থীরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত সুন্দর এবং সঠিকভাবে তৈরী করার ব্যপারে গুরুত্ব প্রদান করে না ৷ ফলশ্রুতিতে অনেক যোগ্য প্রার্থীই Job Interview তে ডাক পায় না এবং যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় ৷
আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর আগে যে সকল বাস্তবতার দিকে নজর রাখবেন---
● একজন চাকুরীদাতা
গড়ে একটি জীবনবৃত্তান্ত
(CV)-এর উপর ৩০
সেকেন্ডের বেশী সময়
দেয় না ৷
সুতরাং এটি হতে
হবে সংক্ষিপ্ত ৷
তথ্যগুলোর উপস্থাপন হতে
হবে সুস্পষ্ট ৷
অপ্রয়োজনীয় বা অপেক্ষাকৃত
কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
পরিহার করতে হবে
৷
● একজন অনভিজ্ঞ/সদ্য পাস
করা চাকুরীপ্রার্থীর জীবনবৃত্তান্ত এক থেকে
দুই পাতার বেশী
হওয়া কোনভাবেই উচিত্
নয় ৷
● আপনার জীবনবৃত্তান্ত
হচ্ছে আপনার নিজেকে
বিপণন করার মাধ্যম
৷ সুতরাং এটি
হতে হবে আকর্ষণীয়
৷ তবে চটকদার
কোন কিছু যেমন
রঙিন কাগজ বা
রঙিন কালি ব্যবহার
করবেন না ৷
কোন কিছু Highlight করতে
হলে সেটিকে Bold, italic বা underline করতে
পারেন ৷
● মনে রাখবেন,
আপনার জীবনবৃত্তান্তের মধ্যে যদি
কোন বানান ভুল
বা ভাষাগত/ Grammatical ভুল থাকে
তবে সম্ভাব্য চাকুরীদাতার
আপনার সম্বন্ধে নেতিবাচক
ধারণা হবে ৷
এটি প্রকাশ পাবে
যে আপনি কোন
কাজই নির্ভুল ভাবে
করতে সক্ষম নন
৷ সুতরাং একটি
CV তৈরীর পর সেটি
নিজে ভাল করে
পড়ুন এবং শুদ্ধ
ইংরেজী জানেন এমন
ব্যক্তিকে দেখিয়ে নিন
৷
● যখন আপনি
কোন নির্দিষ্ট চাকুরী
বিজ্ঞপ্তির (job announcement)-এর বিপরীতে
আবেদন করার জন্য
জীবনবৃত্তান্ত পাঠাবেন, তখন
চেষ্টা করুন আপনার
CV সেই চাকুরীর চাহিদা
অনুযায়ী তৈরী করতে
(Customize your CV) ৷
এর জন্য প্রয়োজন
চাকুরী বিজ্ঞপ্তি ভাল
করে পড়া এবং
প্রতিষ্ঠানটি সম্বন্ধে কিছু
গবেষণা (Research) করা ৷
উদাহরণ স্বরুপ আপনি
যদি জানেন যে
নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের
যে কোন স্থানে
নিয়োগ দিতে পারে,
তাহলে আপনি আপনার
CV-তে উল্লেখ করতে
পারেন আপনি বাংলাদেশের
কোন কোন স্থানে
পূর্বে অবস্থান করেছেন
৷ অথবা কোন
নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এমন
কোন লোক খুঁজছে
যার একজন ‘ সংগঠকের
(organizer’) ভূমিকা
পালন করতে হবে,
সেই ক্ষেত্রে আপনি
যদি আপনার ছাত্রজীবনের
কোন সাংগঠনকারীর ভূমিকা
উল্লেখ করেন তবে
আপনার CV নিয়োগকারীর কাছে
আলাদা মূল্য পাবে
৷
§ এটি খুবই
গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি
আপনার CV তে সঠিক
তথ্য দিবেন ৷
এমন কোন তথ্য
দিবেন না যা
আপনার Job interview-তে ভুল
প্রমানিত হতে পারে
৷
জীবনবৃত্তান্তের (CV) বিভিন্ন অংশ
একটি জীবনবৃত্তান্তে (CV) যে তথ্যগুলো আপনি সুবিন্যস্ত ভাবে উপস্থাপন করবেন সেগুলো হচ্ছে--
* শিরোনাম (Title)
* সার সংক্ষেপ
(Career Summary) --> অভিজ্ঞতা
সম্পন্নদের জন্য বেশী
প্রয়োজন ৷
* ক্যারিয়ার উদ্দেশ্য
(Career objective)-->সদ্য
পাশ করা চাকুরী
প্রার্থীদের জন্য বেশী
প্রয়োজন ৷
* চাকুরির অভিজ্ঞতা
(Experience)
* শিক্ষাগত যোগ্যতা
(Education)
* অতিরিক্ত তথ্য
(Additional Information)
* ব্যক্তিগত তথ্য
(Personal Information)
* রেফারেন্স (Reference)
শিরোনাম: (Title)
জীবনবৃত্তান্তের শুরুতেই থাকবে আপনার পুরো নাম ৷ এটা বোল্ড (bold) হবে এবং একটু বড় ফন্টে লিখতে হবে (ডাক নাম পরিহার করুন) ৷ তার পর থাকবে আপনার ঠিকানা (বর্তমান ঠিকানা যেখানে আপনাকে চিঠি দিলে আপনি পাবেন), ফোন নম্বর ও ই-মেইল এড্রেস ৷ এই অংশটুকু পৃষ্ঠার উপরে মধ্যখানে থাকবে, যাতে তা প্রথমেই চোখে পরে ৷
Career Summary( সার সংক্ষেপ )
যে সকল ব্যক্তিদের ৪-৫ বছরের বেশী চাকরীর অভিজ্ঞতা আছে তাদের জন্য এটি বেশী প্রযোজ্য ৷ এই অংশে আপনি সর্বোচ্চ ৬-৭ লাইনে উল্লেখ করুন আপনার পূর্ব চাকরীর অভিজ্ঞতার কর্মক্ষেত্রগুলো ৷ আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতার সাফল্যগুলো (Achievement) সংক্ষেপে তুলে ধরুন (যদি থাকে) ৷
Career Objective
এটি বেশী প্রযোজ্য সদ্য পাশ করা চাকুরী প্রার্থী বা অল্প অভিজ্ঞ (১ / ২ বছর) চাকুরী প্রার্থীদের জন্য ৷ এই অংশে আপনি আপনার চাকুরীক্ষেত্রে বর্তমান লক্ষ্য (Immediate goal) উল্লেখ করুন এবং আপনার যোগ্যতা কিভাবে বিজ্ঞপ্তির (Advertised) চাকুরী বা যে প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন, তার প্রয়োজন মেটাতে পারে তার প্রেক্ষিতে উপস্থাপন করুন ৷ চাকুরীর জন্য উপযুক্ত ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষিপ্তভাবে উলেখ করুন ৷ চাকুরী বিজ্ঞপ্তি বা কোম্পানির প্রয়োজনের সাথে খাপ খাইয়ে Career Objective লেখা জরুরী ৷ আপনি কোম্পানিকে কি দিতে পারবেন তার ওপর গুরুত্বারোপ করুন, কোম্পানির কাছ থেকে আপনি কি আশা করছেন তার ওপর নয় ৷
Experience: (কর্ম অভিজ্ঞতা)
অভিজ্ঞ পেশাজীবিদের জন্য এই অংশটি শিক্ষাগত যোগ্যতার আগেই আসা উচিত ৷ সদ্য পাশ করা বা অল্প অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা (Education) এবং তার পরে experience আসা উচিত ৷
যে সকল তথ্য আপনার প্রতিটি পূর্ব অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে উল্লেখ করবেন সেগুলো হচ্ছে,
* Organization name (প্রতিষ্ঠানের নাম)
* Designation (পদবী)
* Time period- From & To
(সময়কাল)
* Job responsibility (দায়িত্ব)
* Special achievement (উল্লেখযোগ্য সাফল্য)
আপনি যদি একই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করে থাকেন, তাহলে আলাদা আলাদা ভাবে তা উল্লেখ করুন ৷
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি প্রথমেই উল্লেখ করবেন আপনার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা (most recent experience), তার পরে এক এক করে Resume Chronological Order-এ একটির পর একটি অভিজ্ঞতা উল্লেখ করবেন যা শেষ হবে আপনার সর্বপ্রথম অভিজ্ঞতা দিয়ে ৷
আপনার খুব কম গুরুত্বপূর্ণ বা কম সময়ের অভিজ্ঞতা উল্লেখ না করাই ভাল ৷ তবে লক্ষ্য রাখবেন যে আপনার List of experience এর মধ্যে যাতে খুব বেশী Time gap না থাকে ৷
Education & Training (শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ)
আগেই বলা হয়েছে যে এই অংশটি সদ্য পাশ করা বা অল্প অভিজ্ঞদের জন্য Experience অংশের আগেই আসা উচিত্ ৷ Education অংশে আপনি আপনার ডিগ্রিগুলোর নাম উল্লেখ করবেন এবং নিম্নেবর্ণিত তথ্য প্রদান করবেন ৷
* ডিগ্রির নাম
(যেমন: SSC, HSC, BCom)
* কোর্স সময়কাল
(কবে থেকে কবে)
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডের
নাম ৷ * পরীক্ষার
বছর এবং প্রয়োজনে
ফলাফল প্রকাশের সময়
৷
* ফলাফল/Result এবং
যদি উল্লেখযোগ্য সাফল্য
(যেমন: মেধাতালিকায় স্থান)
থাকে তবে তার
উল্লেখ করতে হবে
৷
Experience-এর
মতো এক্ষেত্রেও আপনি আপনার সবচেয়ে সাম্প্রতিক ডিগ্রির উল্লেখ আগে করবেন এবং তার পর পর্যায়ক্রমিক ভাবে বাকিগুলো উল্লেখ করবেন ৷
লক্ষ্য রাখবেন আপনার কোন ডিগ্রির চূড়ান্ত ফলাফল এখনও প্রকাশ না হয়ে থাকলে সেই ডিগ্রির উল্লেখ করার সময় ব্র্যাকেটে ‘Appeared’ উল্লেখ করবেন ৷ কোন কোর্সে অধ্যায়নরত থাকলে ‘Ongoing’ উল্লেখ করুন ৷ কোন ডিগ্রির ক্ষেত্রে আপনার Result যদি খুব খারাপ হয়ে থাকে তবে কোন Result-ই উল্লেখ করার দরকার নেই ৷ মনে রাখবেন একটি ডিগ্রির ফলাফল উল্লেখ করা ও অন্যটি উল্লেখ না করা দৃষ্টিকটু ৷
আপনি যদি কোন বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং যদি তা আপনার কাজের যোগ্যতার সহায়ক বলে মনে করেন তবে তা উল্লেখ করবেন ৷ সেক্ষেত্রেও প্রশিক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, Topics, প্রতিষ্ঠানের সময় (Duration) তারিখ উল্লেখ করবেন৷
প্রশিক্ষণের তালিকা আপনি Education অংশের নীচে দিতে পারেন ৷
অতিরিক্ত তথ্য / Additional Information
যে সকল তথ্য উপরে উল্লেখিত অংশগুলোর মধ্যে পড়ে না কিন্তু চাকরির সাথে সম্পর্কিত তা এ বিভাগে বর্ণনা করুন ৷
* পেশাগত অর্জন
/ Professional Achievement
* পদক/ সম্মাননা/
Award.
* ভাষাগত দক্ষতা
/ Language Literacy
* কম্পিউটারে দক্ষতা
/ Computer Skills.
* লাইসেন্স,সরকারি
পরিচয়পত্র, প্রকাশিত লেখা
ও সত্বাধিকার
* স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ড
ইত্যাদি
ব্যক্তিগত তথ্য / Personal Information
এই অংশে পিতামাতা, বর্তমান/স্থায়ী ঠিকানা, ধর্ম, যে সকল দেশ আপনি ভ্রমণ করেছেন, শখ ইত্যাদি এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে ৷
রেফারেন্স (Reference)
0 Comments
Thank you